প্রতিকৃতিটি সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ক্যাটাগরিতে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। প্রতিকৃতি সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র (লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক) ক্যাটাগরিতে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে।
প্রকল্পের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রোকেয়ার ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেডের পরিচালক ইয়ালিদ বিন রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ই-মেইল বার্তায় তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে “
তিনি বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত দলিল চলে আসবে।”
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে গত ২৯ জানুয়ারি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে (১২শ’ বর্গমিটার) চীন থেকে আনা গাঢ় বেগুনি রঙের হাইব্রিড ও দেশের গাঢ় সবুজ ধানের চারা রোপণ করা হয়। এখন সেই চারাগুলো বড় হয়ে তাতে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিকৃতির তৈরির কাজ শুরু করে। এটি তৈরি করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের সাথে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ শস্যচিত্রের জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছে সাত মাসের জন্য ১০০ বিঘা জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে।
পরে গত ৯ মার্চ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পরিদর্শনে গিনেস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বালেন্দা গ্রামের প্রকল্প এলাকায় যান।
পরিদর্শন শেষে ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ জানিয়েছিলেন, তারা সাক্ষী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র পরিদর্শনে এসেছেন।
কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে কামাল উদ্দিন বলেন, “গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে সকল শর্ত পূরণ হয়েছে। চীনে শস্যচিত্র ছিল ৭৫ বিঘা জমিতে আর এখানে ১০০ বিঘা জমিতে।”
তিনি বলেন, “আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দাখিল করা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আগেই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাবে।”
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।